স্টাফ রিপোর্টার
, যশোর
পৌষের মাঝামাঝি উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে যশোর। গত তিন-চারদিন ধরে এ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সূর্য।
রোববারও সকাল থেকে দেখা মেলেনি আলো। হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। তীব্র ঠান্ডার সাথে উত্তরের কনকনে বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ।
যশোর বিমানবন্দর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার যশোরে তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও গেল শুক্র ওশনিবার যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় যথাক্রমে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু রোববার তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের দাপট কমেনি একটু। বরং তা আরো তীব্রতর হয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অফিসে দায়িত্বরত কর্মী।
তিনি জানান, আকাশে মেঘ ও কুয়াশা থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সোমবারও এমন অবস্থা থাকতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে, তীব্র শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। হাড়কাঁপানো শীতে কাজে বের হওয়া এখন চরম কষ্টের। শহরের রেলস্টেশন, দড়াটানা মোড় থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে একই চিত্র—আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
স্কুল বন্ধ থাকলেও ঘন কুয়াশায় শীত উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য কোচিংয়ে আসতে হচ্ছে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যেও। তীব্র শীতে যশোর জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই ঠান্ডায় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।
শীতের দাপট বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বেড়েছে শহরের পুরনো কাপড়ের দোকানে। সাধ্যের মধ্যে উষ্ণতা খুঁজতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা ভিড় জমাচ্ছেন এসব দোকানে।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন, জেলার আটটি উপজেলায় এরই মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আমরা মন্ত্রণালয়ে আরো ১৫ হাজার কম্বলের চাহিদা দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই পেয়ে যাবো।