যশোর, বাংলাদেশ || রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
Subornovumi Subornovumi Subornovumi Subornovumi Subornovumi Subornovumi
Ad for sale 870 x 80 Position (1)
Position (1)
Ad for sale 870 x 100 Position (1)
Position (1)

শনিবারও যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

স্টাফ রিপোর্টার

, যশোর

প্রকাশ : শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর,২০২৫, ০৯:০০ পিএম
আপডেট : শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর,২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
শনিবারও যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

শনিবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

উত্তরের শীতল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন।

ভোর থেকেই কুয়াশার ঘনত্ব ছিল প্রায় ১০০ মিটার, ফলে সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচলে দেখা দেয় ধীরগতি।

তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। কাজের সন্ধানে বের হলেও অনেকেই শীতের কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না। এতে তাদের দৈনন্দিন আয় ব্যাহত হচ্ছে।

শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সকাল পেরুনোর সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কিছুটা কাটলেও শীতের তীব্রতা এখনো পুরোপুরি কমেনি।
এরআগে শুক্রবার যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় ঠাণ্ডার অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।

যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে প্রতিদিন কয়েকশ’ মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হন। প্রচণ্ড শীতে সেই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরপরও কাজ না পাওয়ায় অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ কাজের আশায় অনেক বেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন।

নির্মাণশ্রমিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘শীতে বাইরে দাঁড়াতে পারছি না। অনেক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই। কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। ঠিকমতো কাজও পাচ্ছি না।’

রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক ওসমান গনি বলেন, ‘শীতে মানুষ ঘর থেকে খুব কম বের হচ্ছে। এজন্য যাত্রী পাচ্ছি না। আয়-রোজগারও কমে গেছে। খুব কষ্টে দিন পার করছি।’

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Ad for sale 270 x 200 Position (2)
Position (2)