সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ফেসবুকে পোস্ট ডিলেট না করাকে কেন্দ্র করে জুনিয়র-সিনিয়র শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৩ শিক্ষার্থী।
পরী্ক্ষার পরে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো- অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইরফান আজম খান ও ছাত্র আরেফিন চৌধুরী এবং সপ্তম শ্রেণির বাদশাহ শিহাবুল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গেল মঙ্গলবার পরীক্ষা নেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের দুইগ্রুপের সংঘর্ষের ভিডিও-ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করায় ক্ষুব্ধ ছিল দশম শ্রেণির ছাত্র গ্যাংলিডার জিসানের অনুসারীরা। তারা ফেসবুকের সব ভিডিও-পোস্ট ডিলেট করার নির্দেশনা দেয়। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক কিছু ছাত্র পোস্ট ডিলেট করলেও কয়েকজনের ফেসবুক ওয়ালে সংঘর্ষের ভিডিও থেকে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পাসে দাঁড়াতেই দুগ্রুপের উত্তেজনা থেকে লোহার স্কেল, কলম এবং ইট দিয়ে তিনজনকে মারধর করা হয়।
প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু বলেন, ‘ছাত্রদের প্রতিটি ঘটনা ডিসি স্যারকে জানিয়েছি। আজকে আহত ছাত্রদের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন ‘কে বা কারা ছাত্রদের মধ্যে মারামারি বাধিয়ে ফায়দা লুটছে- তা বলতে পারছি না। তবে পুরো ঘটনায় সুপরিকল্পিত একটি চক্রান্ত রয়েছে।’
স্কুলের সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মিজ আফরোজা আখতার বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সজাগ থাকতে হবে।’