বিএনপিনেতার মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে নড়াইলে আমরণ অনশন

নড়াইল-২ আসনে (লোহাগড়া উপজেলা ও সদরের একাংশ) বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন ও মনোনয়ন পুনবর্হালের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন মনিরুল ইসলামের অনুসারীরা।
মনিরুল ইসলাম নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে নড়াইল জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সামনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের নেতাকর্মীরা আমরণ অনশন শুরু করেন।

গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতে বিএনপিতে যোগ দেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির চেয়ারম্যান ড. এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। বিএনপিতে যোগদান করেই তিনি নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষের চূড়ান্ত মনোনয়ন পান।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর এই আসনের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঘোষণার ২০দিন পর নড়াইল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদের মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করে দলটি।

সরেজমিনে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সামনে কেদ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, নড়াইল সদর থানা মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী শিরিন সুলতানার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা আমরণ অনশন শুরু করেন।

প্রথমে চারজন অনশন শুরু করলেও কিছু সময় পর অর্ধশতাধিক সমর্থক এ অনশনে যোগ দেন। প্রচণ্ড শীতে অনশনে থাকা চারজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে অসুস্থ একজনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।

অনশন কর্মসূচির খবর পেয়ে রাতেই মনিরুল ইসলাম সেখানে ছুটে যান। এসময় অনশনরতদের পানি এবং শরবত খাইয়ে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করলেও তারা সাড়া দেননি।

নড়াইল সদর থানা মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী শিরিন সুলতানাসহ সকলে দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে মনিরুল ইসলাম দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জেল খেটেছেন। তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। অথচ, তাকে মনোনয়ন দিয়ে আবার তা পরিবর্তন করে অন্য একজনকে দেওয়া হয়েছে- এটা আমরা মানতে পারছি না।

তারা মনিরুল ইসলামের মনোনয়ন ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানান।