মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মণিরামপুরের তিনজনের লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে।
এরপর তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সকালে মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বজনরা লাশ আনতে ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশে রওয়ানা হন। বিকেল ৪টার পর তিনজনের মরদেহ রাজগঞ্জে এসে পৌঁছায়।
নিহত নিশানের খালাতো ভাই আকাশ বলেন, খবর পেয়ে দুপুরে আমরা ভাঙ্গা থানায় যাই। এরপর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তিনজনের লাশ নিয়ে রাজগঞ্জে ফিরে আসি।
শনিবার মাগরিবের নামাজের পর রাজগঞ্জ বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে নিহত তিন জনের জানাজা সম্পন্ন হয়ে নিশানকে রাজগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এরপর নিশানের বোন ও ভগ্নিপতির মরদেহ কেশবপুরে তাদের নিজবাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজাশেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখেমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন মারা যান। নিহতরা তিনজন সস্পর্কে ভাই, বোন ও ভগ্নিপতি। তাদের বাড়ি রাজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে।
নিহতরা হলেন, রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে সাকিবুর রহমান নিশান (২৩), মেয়ে নীলা খাতুন (২৫) ও মেয়ে জামাই মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও নিশান।