মাগুরা সংবাদদাতা
কয়েকদিন ধরে মাগুরায় শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে। শীতের প্রকোপে শহরের ফুটপাতগুলোতে জমজমাট কাপড়ের অস্থায়ী দোকান। বিশেষ করে মাগুরা সদর থানার সামনে ফুটপাতে বেলের সোয়েটার, জ্যাকেট, কোটসহ নানা ধরনের শীতপোশাকের বেচাকেনা বেড়েছে।
রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। শিশুদের শীতের কাপড় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য তুলনামূলক কম দামে এসব গরম কাপড় সহজলভ্য হওয়ায় ফুটপাতমুখি হচ্ছেন ক্রেতারা।
ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, প্রতিবছর আমরা চট্টগ্রাম থেকে বেল আকারে কাপড় কিনে আনি। সোয়েটারের বেল ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং জ্যাকেটের বেল ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকায় কিনতে হয়। এই ব্যবসা মূলত শীতের তিনমাসই চলে। যতো শীত, ততো বিক্রি।
আরেক দোকানি এনায়েত হোসেন জানান, শীতকালে সোয়েটার, জ্যাকেট, কোট, টুপি, গ্লাভস, উলের মোজা ও অন্যান্য গরম কাপড়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, ‘এক পিস কাপড় ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। গত ৭-৮ দিন ধরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ায় বিক্রিও অনেক বেড়েছে।’
দোকানি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘জ্যাকেটের বেলের ক্রয়মূল্য সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। জ্যাকেটের মানের ওপর দাম নির্ভর করে। প্রতি বেলে গড়ে ১৮০ পিস কাপড় থাকার কথা থাকলেও অনেক সময় কম পাওয়া যায়।’
গত ১৮ বছর ধরে প্রতি শীত মৌসুমে তিনি এই ব্যবসা করে আসছেন।
এদিকে, হাড়কাঁপানো শীতে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনেরবেলাতেও প্রধান ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে, এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
রিকশাচালক আলী হোসেন বলেন, ‘তীব্র শীতে রাস্তায় বের হওয়া খুব কষ্টকর। সকালে যাত্রী পাওয়া যায় না। পরিবারের কথা চিন্তা করে শীত উপেক্ষা করেই বের হতে হয়। তাই নিজের ও পরিবারের জন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছি। কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়েছে।’
ইসলামপুরপাড়ার বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, ‘মাগুরায় প্রায় ৮-১০ দিন ধরে খুব ঠাণ্ডা পড়ছে। এ কারণে ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ভিড় বেড়েছে। তুলনামূলক কম দামে গরমকাপড় পাওয়া যায় বলেই এখানে ভিড় হয়।’