স্টাফ রিপোর্টার
, যশোর
যশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকায় গোলাম রসুলকে গলা কেটে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
আহত গোলাম রসুলের স্ত্রী বর্ষা আক্তার সদরের বেনেয়ালি গ্রামের তাজিড়ের ছেলে তপুকে আসামি করে মামলাটি করেছেন। এছাড়াও এ মামলায় আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে গোলাম রসুল নিজেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। সকালে তাকে ঢাকাতে নেয়া হয়েছে।
বর্ষা আক্তার জানান, তার প্রবাসী মামাতো ভাই আমিনুর রহমানের স্ত্রী তন্নীর সাথে গোলাম রসুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। মূলত তারা রসুলকে তার কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে এক মাস কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার রাতে তিনি জানতে পারেন এ ঘটনা।
অন্যদিকে, বর্ষার বাবা রাজ্জাক জানান, গোলাম রসুল সুদের কারবার ও সমিতি থেকে নেওয়া ঋণ নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন। তিনি নিজেও কিছু জমি বিক্রি করে ঋণ শোধ করেছেন। এর মধ্যেই গোলাম রসুল ওই মেয়ের সঙ্গে চলে যান এবং এরপর আর খোঁজ নেননি। অন্তঃসত্ত্বা বর্ষার দুই সন্তান রয়েছে।
শনিবার রাতে তিনি এই খবর জানতে পেরে রোববার ভোরে গোলাম রসুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অপারেশন করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আসামি তপুকে আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়াও তন্নী ও তার মায়ের বিষয়টি নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।