যশোর, বাংলাদেশ || রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
Subornovumi Subornovumi Subornovumi Subornovumi Subornovumi Subornovumi
Ad for sale 870 x 80 Position (1)
Position (1)
Ad for sale 870 x 100 Position (1)
Position (1)

ইবিতে হচ্ছে ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চেয়ার’

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : রবিবার, ২১ ডিসেম্বর,২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম
ইবিতে হচ্ছে ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চেয়ার’

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনাদর্শ, মতাদর্শ, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, ঐতিহ্য রক্ষার্থে ও তার প্রতি সম্মান জানিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চেয়ার’।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ১৯তম অনুষদীয় সভায় এই চেয়ার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা ও সিন্ডিকেটের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে এই চেয়ার প্রতিষ্ঠিত হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইবি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গফুর গাজী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শিদ রতন, অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্যর অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এম এ কাউসার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম সহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, যার ডাকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করে। দ্বিতীয়ত, স্বাধীন বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।

যেখানে ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির উদ্দেশ্য ছিলো তার। তাই, তার নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চেয়ার প্রতিষ্ঠা করাই ছিলো সবচেয়ে যৌক্তিক দাবি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার বৈষম্য করে তার নামে চেয়ার প্রতিষ্ঠা না করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়ার’ প্রতিষ্ঠিত করে।

জানা যায়, অনুষদীয় সভায় প্রথমে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পক্ষ থেকে এই চেয়ার স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও সভায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ এই চেয়ার কোনো বিভাগের অধীনে না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থাপনের আহবান জানান। সভায় উপস্থিত প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বশীল এবং বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব পাশ করেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চেয়ার অনুমোদনের পরপরই একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক, বিশিষ্ট গবেষক ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষককে এ চেয়ারে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ পদে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপকরা ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট চেয়ার’ বা ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট চেয়ার অধ্যাপক’ পদবিতে ভূষিত হবেন। তিনি জিয়াউর রহমানের জীবন, দর্শন ও গবেষণা চর্চা ছাড়াও প্রয়োজনে গ্রন্থ প্রকাশও করতে পারবেন।

এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন ও জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদিকে যেমন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, অপরদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার সম্মানার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক আগেই একটি চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা উচিত ছিলো।

চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের অবসানের পরে সুযোগ এসেছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি হওয়া বৈষম্য দূর করে তার প্রাপ্য সম্মান তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার। সেই জায়গা থেকেই আজ অনুষদীয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশাকরি খুব দ্রুতই এটি বাস্তবায়ন হবে।

ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Ad for sale 270 x 200 Position (2)
Position (2)