মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাথানগাছি গ্রামের কৃষক মো. আরুল হকের হাত ধরে স্থানীয় পর্যায়ে গুটি সার উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হয়েছে।
২০১১ সালে কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউরিয়া, পটাশ ও ডিওপি সার মিশ্রণের আধুনিক পদ্ধতিতে গুটি সার তৈরি শুরু করেন তিনি।
মহেশপুর উপজেলায় তিনিই প্রথম এই গুটিসার উৎপাদনের উদ্যোগ নেন বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
কৃষক আরুল হক জানান, প্রচলিত ছিটানো সারের তুলনায় গুটি সার জমিতে প্রয়োগ করলে সার অপচয় অনেক কম হয়। পাশাপাশি ধীরে ধীরে মাটিতে সার গলে শেকড়ে পৌঁছায়, ফলে ফসলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং মাটির গুণগতমানও উন্নত হয়। এতে উৎপাদন খরচ কমে আসে এবং ফলন বাড়ে।
সোমবার সকালে তার নিজস্ব কারখানায় স্থাপিত গুটিসার তৈরির মেশিন পরিদর্শনে আসেন ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। এ সময় তিনি কারখানার কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং গুটিসার উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেন।
পরিদর্শনকালে উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, গুটিসার ব্যবহারে সার ব্যবস্থাপনা আরও বিজ্ঞানসম্মত হয়। এতে একদিকে যেমন কৃষকের খরচ কমে, অন্যদিকে পরিবেশ ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা পায়। স্থানীয় পর্যায়ে একজন কৃষকের এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।
এ সময় মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, গুটি সার প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা গেলে মহেশপুরসহ আশপাশের এলাকায় ফসল উৎপাদনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আগ্রহী কৃষকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।